শফিউজ্জামান আতা,
স্টাফ রিপোর্টার ঃ
মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা সমুন্নত রাখার জন্য ভাষা শহীদদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকে স্মরণ করে জাতি (২১ ফেব্রুয়ারি) ‘অমর একুশে’, ভাষা শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করে।
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন পাকিস্তান সরকার বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়ায় এবং পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে উর্দুকে চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে ঢাকার ছাত্র ও সাধারণ জনগণ রাস্তায় নেমে আসে।
লালমনিরহাট সদরের বড়বাড়িতে অবস্থিত ছাত্রদের তৈরি অরাজনৈতিক – সেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘পিজিয়ন’। ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে সামাজিক ও উন্নয়ন মুলক কাজগুলো করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় সমাজকে আলোকিত করতে ২০১৮ সালে পিজিয়ন পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করে।
ভাষা আন্দোলনের সেই বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সকাল ৭ টায় শহীদ মিনারে খালি পায়ে গিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় এবং ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস সম্পর্কে আলোচনা করে।
পিজিয়ন ক্লাবের সভাপতি শফিউজ্জামান আতা বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন আমাদের নিজস্ব ভাষার উন্নয়ন ও সংরক্ষণের পাশাপাশি বহুভাষিক শিক্ষার মাধ্যমে একটি টেকসই ভবিষ্যৎ গড়তে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে- এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
সাংগঠনিক সম্পাদক পিয়াস পাটোয়ারী বলেন, ‘অমর একুশের চেতনাকে ধারণ করে বিশ্বের বিভিন্ন ভাষা ও সংস্কৃতির মানুষের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত হোক, বৈষম্যহীন বর্ণিল পৃথিবী গড়ে উঠুক- শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে এটাই আমার প্রত্যাশা।
এছাড়াও পিজিয়ন ক্লাবের স্কুল কমিটি ও কলেজ কমিটির সদস্যরা বক্তব্য দেন।
Leave a Reply