নীলফামারী প্রতিনিধি
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ
উপজেলায় শশুর বাড়িতে জামাইকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
উঠেছে । ঘঁটনাটি ঘটেছে শুক্রবার ভোর চারটার দিকে
পুটিমারী ইউনিয়নের পুটিমারী মাঝাপাড়া গ্রামে। পুলিশ
লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী মর্গে প্রেরন
করেছেন। এ ঘঁটনায় একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে নিহতের পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে,
কিশোরগঞ্জ উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের
মাঝাপাড়া গ্রামের এয়াকুব আলীর ছেলে নীলফামারীর উত্তরা
ইপিজেটের শ্রমিক বিপুল ইসলাম সাদ্দামের সাথে গত দুই বছর
আগে একই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাছারীপাড়া গ্রামের
লুতফর রহমানের কন্যা লুবাইয়া আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে
লুবাইয়া স্বামীর বাড়িতেই অবস্থান করছিল। গত ৬ জুন
সোমবার লুবাইয়া তাঁর স্বামীকে না জানিয়ে বাবার বাড়িতে
চলে আসে। খবর পেয়ে স্বামী সাদ্দাম ৭ জুন উত্তরা ইপিজেটে
ডিউটি শেষ করে সন্ধ্যার দিকে স্ত্রীকে আনতে শশুর বাড়িতে
যান। শশুর বাড়িতে গিয়ে পারিবারিক কলহের জেরে শশুর শাশুরীসহ
অন্যারা মিলে জামাইকে মারধর করলে জামাই অসুস্থ হয়ে পড়ে।
সাদ্দামের ভগ্নিপতি মাজেদুল ইসলাম , দুলাল মিয়া , বড়আব্বা
শহিদুল ইসলাম জানান, সাদ্দাম বিয়ের পরে তাঁর শশুরকে ৫ লক্ষ টাকা
ধার দিয়েছিল সেই টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে শশুর জামাই এবং
শাশুরীর সাথে মনোমালিন্য চলে আসছিল। ঘঁটনার দিন ৭জুনসাদ্দাম ফোনে আমাদের জানায় আমি শশুর বাড়িতে এসেছি
তারা আমাকে অনেক মারধর করেছে আমাকে বাঁচান। পরে আমরা
গিয়ে সাদ্দামকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে
তারা সাদ্দামের কাছ থেকে সাদা ষ্টাপে স্বাক্ষর নিয়ে তাঁরপর
তাঁকে ছেড়ে দেয়। পরবতর্ীতে আমরা প্রথমে তাঁকে
কিশোরগঞ্জ হাসপাতাল এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য
সাদ্দামকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে
ভর্তি করি। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
অবস্থায় শুক্রবার রাত চারটার দিকে সাদ্দাম মারা যায়। এদিকে
ঘঁটনার বিষয়ে জানার জন্য সাদ্দামের শশুর বাড়িতে গেলে বাড়ি
তালাবন্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়।
কিশোরগঞ্জ থানার ওসি রাজিব কুমার রায় বলেন, লাশ উদ্ধার করে
নীলফামারী মগে পাঠানো হয়েছে । মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
Leave a Reply