আলমগীর হোসেন।
ফকিরপাড়া ইউনিয়নের দরিদ্র পরিবারের মেধাবী ছাত্রী, নীলফামারী মেডিকেল কলেজে পড়ার সুযোগ পাওয়া আমিনার হাতে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে ল্যাপটপ তুলে দিলেন জেলা প্রশাসক আবু জাফর।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া এবং বড়খাতা ইউনিয়নে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ কর্তৃক পরিচালিত বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিদর্শনকালে নীলফামারী মেডিকেল কলেজে পড়ার সুযোগ পাওয়া আমিনার হাতে ল্যাপটপ তুলে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য যে, ইতোপূর্বে জেলা প্রশাসক আবু জাফর আমিনার মেডিকেল কলেজে ভর্তির ব্যাপারে ২০,০০০ টাকার চেক প্রদান করেছেন। এছাড়াও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর কর্মকর্তাবৃন্দ আমিনার মেডিকেল কলেজে ভর্তি ও পড়ালেখার ব্যাপারে ৩৬,৫০০ টাকা প্রদান করেন।
পরিদর্শনকালে অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর এ্যাসিসট্যান্ট স্পন্সরশীপ ম্যানেজার হাসিনুল কবির, বড়খাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামাল সোহেল, ফকিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলার রহমান খোকন, ইউপি সদস্যবৃন্দ, যুব ফোরামের সদস্যবৃন্দ, অভিভাবক, কিশোর-কিশোরী, স্থানীয় জনগণ, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ, সহযোগী সংস্থা ইএসডিও এবং ইউএসএস এর কর্মকর্তাবৃন্দ।
জেলা প্রশাসক হাতীবান্ধা উপজেলায় প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃক পরিচালিত বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে যুব ফোরামের সদস্যদের সাথে আলোচনা, বন্ধু শিশুর মায়েদের সাথে বন্ধু শিশু কার্যক্রম থেকে প্রাপ্ত আর্থিক সহযোগিতা এবং উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কার্যক্রম থেকে প্রাপ্ত সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন।
তিনি বলেন, “আমরা হোয়াটস এ্যাপ-এ বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটি নামে একটি গ্রুপ গঠন করেছি। আমি অনুরোধ করছি এই গ্রুপে যুক্ত হওয়ার জন্য এবং বাল্যবিবাহ সংক্রান্ত তথ্য দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করার জন্য” ।
তিনি আরো বলেন, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ বিগত ২০ বছরে হাতীবান্ধার উন্নয়নের জন্য বাল্যবিবাহ বন্ধ এবং জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে অনেক উন্নয়নমূলক কার্যক্রম করেছে।
তিনি স্কুল আন্ডার ট্রি প্রকল্পের শিক্ষার্থীর মায়েদের সাথে আলোচনা করেন এবং তাদের কাছ থেকে জানতে চান তাদের ছেলেমেয়েরা কিভাবে এই প্রকল্প থেকে সহযোগিতা পাচ্ছে।
ইউনিয়ন পরিষদ, শিশু ও যুব নেটওয়ার্ক, শিশু কল্যান বোর্ড এবং এলাকার জনগণকে এই কাজের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার জন্য অনেক দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। এলাকার জনগনকে সচেতন করতে হবে। এছাড়াও সেবা পাওয়ার জন্য ৩৩৩ ফোন করার জন্য পরামর্শ দেন।
সবশেষে জেলা প্রশাসক বড়খাতা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্র পরিদর্শন করেন, সেখানে সেবা গ্রহীতা বিশেষ করে কিশোর-কিশোরী, গর্ভবতী মা ও প্রসূতি মায়েরা কিভাবে স্বাস্থ্যসেবা পায় এই বিষয়ে আলোচনা করেন।
Leave a Reply