কালীগঞ্জ উপজেলায় নিজস্ব অর্থায়নে ভাসমান সেতু নির্মাণ করলেন প্রধান শিক্ষক
কালিগঞ্জ প্রতিনিধি
লালমনিরহাট- ২ আসনে সমাজ কল্যাণমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা কালীগঞ্জে সেতুর অভাবে দুর্ভোগে কয়েক হাজার মানুষ। মন্ত্রীর নজর না রাখলেও এলাকার স্কুল শিক্ষক নিজ অর্থায়নে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় ব্যক্তিগত অর্থায়নে ভাসমান সেতু তৈরি করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
এ ঘটনার পর প্রশংসায় ভাসছেন সালমারা ঘোনাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইব্রাহীম ও তার দুই বন্ধু।
জানা গেছে, লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে সেতুর অভাবে অনেকে চলাচল করছে চরম দুর্ভোগে। সমাজ কল্যাণমন্ত্রী লোকজনের পাশে না আসায় ক্ষুব্দ লোকজন। তারা নিজ উদ্যোগে ভাসমান সেতু নির্মাণ করে। উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের সন্নিকটে অবস্থিত সালমারা সতি নদীর ওপর নির্মিত এই সেতুটি এই উপজেলায় বৃহত্তম ভাসমান সেতু হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এলাকাবাসী স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার ছাত্রছাত্রী এই ভাসমান সেতুটির ওপর দিয়ে যাতায়াত করছে। প্রধান শিক্ষক ইব্রাহীমের স্বকীয় উদ্ভাবনী চিন্তা, শ্রম ও অর্থায়নে এবং এলাকাবাসীর কষ্ট লাঘবে ভাসমান সেতুটি নির্মাণ করে প্রায় অসম্ভব কাজটি সম্পন্ন করেছে।
ভাসমান সেতুটি নির্মাণে অর্থ যোগান দিয়েছেন প্রধান শিক্ষকের আরও দুই বন্ধু। উপজেলার চন্দ্ররপুর ইউনিয়নের ৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীসহ এলাকার ২০ হাজার মানুষ এই ভাসমান সেতুটি দিয়ে যাতায়াত করেন। বর্ষা মৌসুমে মানুষের কষ্ট লাঘবে প্রধান শিক্ষকের এই মহতী কাজে এলাকাবাসী সন্তোষটি প্রকাশ করছেন। এই সেতুটির অনন্য বিশেষত্ব হলো সেতুটি প্রায় ৮০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৫ ফুট প্রস্থ। সেতুটিতে ২০ পিস প্লাস্টিক ড্রাম, বাঁশ ও বাঁশের চাটাই ব্যবহার করা হয়েছে। এতে প্রায় লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি চলাচলের উপযোগী করে তুলেছেন।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক ইব্রাহীম বলেন, এই স্থানে একটি পুরাতন সেতু ছিল। সরকারি ভাবে নতুন করে সেতু নির্মাণ হওয়ার কথা। তাই আগের সেতুটি ঠিকাদারের লোকজন সেটি ভেঙে নিয়ে গেছেন। তারপর থেকে তারা এখানে আর কাজের জন্য আসেননি। কিন্তু টানা বর্ষণে পানি বেশি হওয়া এলাকাবাসীর দুর্ভোগ বেড়ে যায়। মানুষের কষ্ট লাঘবে মূলত আমিসহ আমার দুই বন্ধু মিলে এই ভাসমান সেতুটি নির্মাণ করি।
Leave a Reply